এবার নতুন বছরে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বছর নামক সংখ্যার শেষটায় তিন থেকে চার হতেই শান্ত যেন নিরুদ্দেশ। গত বিপিএলে অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা এই ক্রিকেটার এবারের আসরে বড্ড অচেনা, বিবর্ণ ! বিপিএলের গত আসরে পারফর্ম করার আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
চার ফিফটির পাশাপাশি চারটি ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। ৩৯.৭০ গড়ে ৫১৬ রান করে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের সফলতম ব্যাটার। সিলেটকে রানার্সআপ করার পথে বড় অবদান ছিল তার। তাই এবারও শান্তর ওপর একইরকম প্রত্যাশা ছিল সিলেটের। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই তাকে গতবারের দল থেকে ধরে রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
কিন্তু, দলের প্রত্যাশা বিন্দুমাত্রও প্রমাণ করতে পরেননি তিনি। পারফরম্যান্সটা মোটেও আইকনসুলভ করতে পারেনি শান্ত। চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসই ছিল প্রথম দশ ম্যাচে তার ব্যাটে সর্বোচ্চ। তবে, শেষ ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৩৯ রান করেন এই ব্যাটার। স্ট্রাইক রেট ৯৩.৫৮। চলতি বিপিএলে এটাই তার সর্বোচ্চ।
এদিকে অবাক করার মতো তথ্য এবারের বিপিএলে কোনো ছক্কা মারতে পারেননি ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ১২ ম্যাচে স্রেফ ১৪ গড়ে করেছেন ১৭৫ রান। রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা বিশেও নাম নেই শান্তর। ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে তার ওপর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়নি সিলেট। তবুও নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এই বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে শান্তর উপরই গুরুদায়িত্ব থাকবে বাংলাদেশ টপ অর্ডার সামলানোর। সে জন্যে তো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা চাই। ঘরের মাঠে বিপিএল ব্যতীত ভাল মঞ্চ বলতে বাকি শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজ। শান্ত সেসব হিসেব নিশ্চয়ই মাথায় রাখছেন। বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের দায়িত্বই যখন তার কাঁধেন তখন হিসেব তো মাথায় রাখতেই হবে!